আজকে আপনাদের IP Address সম্পর্কে কিছু কথা বলব।

প্রতিটি IP Address হলো Unique, আপনি যখন একটা নির্দিষ্ট IP Address ব্যবহার করছেন তখন সেটা অন্য কেউ ব্যবহার করার সম্ভবনা নেই। IP Address দিয়েই Network ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা যাই এবং করেও থাকে। আপনি যে Internet Service Provider-এর কাছে থেকে Internet সেবা পাচ্ছেন, তারা এই IP Address-এর মাধ্যমেই আপনাকে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারেন ইচ্ছা করলেই।
Network ব্যবহারকারীর অবস্থান খুঁজে বের করা। প্রতিটা IP Address একটা নির্দিষ্ট স্থানকে নির্দেশ করে। তাই, আপনি কোন জায়গা থেকে Network ব্যবহার করছেন এটা IP Address-এর মাধ্যমে জানা যায়। IP Adderss-গুলো হলো Binary Number, কিন্তু বোঝার সুবিধার জন্য এগুলোকে মানুষের পঠনযোগ্য সংকেত (অক্ষর বা সংখ্যা) দিয়ে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
হ্যাকারদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে এই IP Address. যেহেতু IP Address-এর মাধ্যমে Network ব্যবহারকারীর স্থানজানা যায়, তাই হ্যাকারের জন্য IP Address লুকিয়ে রাখা খুবই জরুরী একটা কাজ। নাহলে হ্যাকারের অবস্থান ফাঁস হয়ে যাওয়ার একটা চান্স থাকে।

আইপি অ্যাড্রেসের দুইটি ভার্সনঃ

IPV4 ও IPV6 চালু আছে। IP পরিকল্পনাকারীরা Internet Protocol Address কে ৩২ বিট দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই System Internet Protocol Vesrson 4 (IPV4) নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকার কারণে ১৯৯৫ সালে IPV6 নামে পরিচিত নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি চালু করা হয়। IPV6 পদ্বতিতে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮ বিট ব্যবহৃত হয়। Internet Protocol Address গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা System ব্যবহার করা হয়। বাইনারী সংখ্যা পদ্বতি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পাঠ উপযোগী সংকেত ব্যবহার করা হয়, উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, 180.210.130.13 (IPV4) এবং 2001:db8:0:1234:0:567:1:1 (IPV6)।

IPV4 ভার্সন

IPV4 সিস্টেমে প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য ৩২ বিট প্রয়োজন হয়। ৩২ টি বিট ৪ টি অকটেডে ভাগ করা থাকে। প্রতিটি অকটেড (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে বর্তমানে IPV6 নামে ১২৮ বিট আইপি অ্যাড্রেস চালু হয়েছে।

IPV4 SubNet

Internet Protocol চালুর প্রথম দিকে নেটওয়ার্ক প্রশাসকরা IP Address কে দুইটি অংশে বিভক্ত করেনঃ একটি হলো নেটওয়ার্ক আইডি (Network ID) এবং অপরটি হলো হোস্ট আইডি (Host ID) । নেটওয়ার্ক আইডি হলো আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম ১৬বিট বা প্রথম দুইটি অকটেড এবং পরবর্তী ১৬টি বিট বা দুইটি অকটেড নিয়ে হলো হোস্ট আইডি। নেটওয়ার্ক আইডি Internet Protocol-এ সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্কটি খুঁজে বের করে এবং হোস্ট আইডি দিয়ে ওই নেটওয়ার্কের ডিভাইস বা কম্পিউটারটিকে চিহ্নিত করে। এই ঘটনাটিকে আমরা বাসা বা বাড়ির ঠিকানা সাথে তুলনা করতে পারি। মনে করুন, আপনি একটি ভবন বা বাড়ি খুঁজে বের করবেন। ভবন বা বাড়িটি খুঁজে বের করার জন্য প্রথমে আপনাকে এলাকাটি খুঁজে বের করতে (Network ID) হবে এবং পরবর্তিতে আপনি বাড়ির নম্বর (Host ID) দিয়ে ভবনটিকে শনাক্ত করতে পারবেন। কিন্তু দিন দিন নেটওয়ার্কের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার এই পদ্বতি সমস্যার সম্মুখীন হয়। কারণ এক অকটেড দিয়ে বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক এর জন্য স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক আইডি নম্বর প্রদান করা সম্ভব ছিলো না। এই কারণে ১৯৮১ সালে Internet Addressing Specification সংশোধন করে ClassRoom Network পদ্বতি প্রবর্তন করা হয়।
ClassRoom Network পদ্বতি নেটওয়ার্ক আইডি নম্বরের অসুবিধাটি দূর করার পাশাপাশি সাব নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও সহজ করে দেয়। ClassRoom Networkপদ্বতিতে IP Address-এর প্রথম ৮ বিট বা ১ অকটেডের প্রথম তিন বিটকে IP Address-এর ক্লাশ (class) বলা হয়। Public Unicast Addressing এর জন্য তিনটি ক্লাশ (class) A,B এবং C তৈরি করা হয়। ক্লাশের উপর নির্ভরকৃত কতোগুলো স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক আইডি নম্বর প্রদান করা যাবে। নেটওয়ার্ক আইডি নম্বরের সংখ্যা যতো বেশি হোস্ট আইডি নম্বরের সংখ্যা তত কম।
যদি কোনো হ্যাকার আপনার এই IP Address জেনে যাই তাহলে মনে করুন যে আপনার Location থেকে শুরু করে আপনার অনেক তথ্য সে দেখে নিতে পারবে।
অনেকেই ভাবছেন আপনার IP Address কীভাবে বার করবে যদি আপনার ফোনটাই অন্য কাউকে না দেন, আসলে আপনি ভূল ভাবনা তৈরি করছেন আপনার মনের মাঝে। বর্তমান প্রযুক্তি প্রচুর পরিমাণ এগিয়ে গেছে অযথা ভূল ধারণা মনের মাঝে তৈরি করবেন না, আপনার অসাবধানতার কারণেই আপনার IP Address হ্যাকার সংগ্রহ করে থাকে।
আপনারা হয়তো জানেন না একটা বিষয় আমরা অনেকেই কিন্তু Google কে ব্যবহার করে কিছু আমাদের পছন্দনীয় ছবি তে ক্লিক করি এবং ডাউনলোড করে থাকী।
অনেক হ্যাকার এই লিংক-এ Tracking Link মেইক করে রাখে আপনি ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি কোন দেশে থাকেন এবং আপনার IP Address চলে যাই হ্যাকার এর হাতে, এখন বললেন হয়তো যে Google এর মতো একটা Company এর লিংক গুলোতে কীভাবে হ্যাকার Tracking করে!
ওই যে বললাম তথ্য প্রযুক্তি এখন প্রচুর পরিমাণ এগিয়ে আছে, শুধু মাত্র Google থেকে ছবির লিংক গুলো হ্যাকার সংগ্রহ করে এবং তাদের Special System এ লিংক গুলোতে Tracking লিংক তৈরি করে এতে তাদের দুই রকম সুবিধা হয়ে থাকে।

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.